গাজীপুরের শ্রীপুরে ককটেল দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা : ফেঁসে গিয়ে উল্টো মামলা
মোঃ শাহাদত হোসাইন (শ্রীপুর) গাজীপুরঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে চুনের দোকানে ককটেল সদৃশ্য বস্তু রেখে ব্যবসায়ীকে ফাঁসিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে বরমী ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া (বরামা) গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের সন্তান নজরুল ইসলাম (৫০) ও একই ইউনিয়নের সোনাকর এলাকার সিরাজুল ইসলামের সন্তান সাংবাদিক পরিচয়ধারী রাকিবুল হাসান (২৭) এর নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বরমী বাজারের ব্যবসায়ী কফিলউদ্দিন।
বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলে ও মামলা সুত্রে জানাযায়, দোকানের মালিক রহিমার কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে দুই বছর যাবৎ ব্যবসা করে যাচ্ছেন কফিল উদ্দিন। দোকানের মালিকের সাথে পারিবারিক বিরোধের জের ও দোকানটি দখলে নিতে অভিযুক্ত নজরুল ব্যবসায়ী কফিলউদ্দিনকে দোকান ছেড়ে দেয়ার জন্য ভয়ভীতি, ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিতে থাকেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অজ্ঞাত ২/৩ লোক এসে দোকানে মাল কেনার কথা বলে একটি ব্যাগ রেখে কিছুক্ষন পরে এসে মাল ও ব্যাগ নিবে জানিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষন পর অভিযুক্ত নজরুল ও রাকিবুল দোকানে প্রবেশ করে ব্যাগের মধ্যে কি আছে দেখতে চান,ও দোকানে অবৈধ মালামাল আছে বলে দোকান তল্লাশি করার কথা বলে টাকা দাবি করেন, টাকা না দিলে পুলিশ,সাংবাদিক এনে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। কফিল উদ্দিন টাকা না দিলে অভিযুক্তরা আশেপাশে থাকা দৈনিক আজকের আলোকিত সকাল পত্রিকার রিপোর্টার পরিচয়দানকারী রাহিমা আক্তার মুক্তা (২৬) মাহামুদুল হাসান (৩১) তানভীর আহমেদ (৪০) মাহামুদুল রহমান (২৭) ৪ জনকে ফোন দিয়ে দোকানে আনে। তারা দোকানে আসলে সবাই ব্যাগটি খুলে বোম সাদৃশ্য ৫ টি বস্তু পান। এসময় অভিযুক্ত নজরুল ও রাকিব ব্যবসায়ীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে বিষয়টি রফাদফা করার কথা বলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আশেপাশের লোকজনের সন্দেহ ও লোকজন দোকানে ভির জমায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ৪ জন ও ব্যবসায়ীকে থানায় নিয়ে যায়। এসময় অবস্থা বেগদিক দেখে জনসাধারাণ প্রকৃত ঘটনা বুঝতে পেরে গেছে বুঝে ৪ জনকে রেখেই দু-এক জনের সহযোগিতায় বা কৌশলে অভিযুক্ত রাকিবুল ও নজরুল পালিয়ে যায়। নজরুল রাকিবের সাথে বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করে,পরিকল্পনার পর রাকিবুল তাদের ৪ জনকে একাজে যুক্ত করে করে বলে জানা গেছে।
শ্রীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার জানান,এঘটনায় ব্যবসায়ী কফিলউদ্দিন মামলা দায়ের করেছেন।অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।